প্রচ্ছদ বৃটেন রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ১৫ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার চিঠি

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ১৫ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার চিঠি

0
অনলাইন ডেক্স: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ৫ দফা সুপারিশ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছেও একই চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
লন্ডন থেকে  খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরযুক্ত এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানা গেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর একযোগে এই চিঠি পাঠানো হয়।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, চিঠিতে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত গণহত্যা বন্ধ, মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত এবং নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রহীনতার ইতি ঘটাতে মিয়ানমার সরকারের ওপর সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। গণহত্যার মুখে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আপৎকালীন মানবিক সহায়তা দান এবং তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের যেকোনো প্রচেষ্টায় সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
চিঠিতে অর্ধশতাধিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, আপনি ও আপনার সরকারের উচিৎ জাতিসংঘের কাছে (সাধারণ অধিবেশন বা নিরাপত্তা পরিষদ, যেখানেই উচিত মনে হয়) বিষয়টি তুলে ধরা।
বেগম জিয়ার সুপারিশমালায় আছে: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বাস্তব অবস্থা নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘের অধীনে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা গঠন করতে হবে। যদি প্রয়োজন পড়ে জাতিসংঘের অধীনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী জরুরি সহায়তা হিসেবে যেসব ত্রাণ পায়- এর ওপর থেকে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নিতে মিয়ানমার সরকারকে তাগিদ দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং রাখাইন রাজ্যে পর্যবেক্ষণ করতে সাংবাদিক ও মানবাধিকার বিষয়ক পর্যবেক্ষকদের প্রবেশের অনুমতি দিতে মিয়ানমার সরকারকে বলতে হবে। অ্যাডভাইজারি কমিশন অন রাখাইন স্টেটের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে এটা অবশ্যই বুঝতে হবে যে, এগুলো হচ্ছে সময়সাপেক্ষ লক্ষ্য। কিন্তু এই মুহূর্তে সেখানে রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে এবং অবিলম্বে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো জোরালো ভাষায় এবং সমস্বরে কথা বলার সময় এটা।
চিঠিতে তিনি বলেন, হলোকাস্টের পর এই বিশ্ব এমনটি আর কখনো ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি করেছিল। বসনিয়ার পর, রুয়ান্ডার পরও প্রতিশ্রুতি করা হয়েছে। কিন্তু তবুও মিয়ানমারে তা আবারও ঘটছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here