প্রচ্ছদ বৃটেন অধ্যায়ের কাব্যসন্ধ্যায় উপচেপড়া ভীড় নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে

অধ্যায়ের কাব্যসন্ধ্যায় উপচেপড়া ভীড় নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে

0
নারী ডেক্স; লণ্ডন, ৩ নভেম্বর – অধ্যায়ের কবি ও কবিতা বিষয়ক কাব্যসন্ধ্যায় কবিতাপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড় নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। আশার সঞ্চার করেছে সাহিত্য-সংস্কৃতিকর্মীদের মনে। ‘কবি আহমদ ময়েজ, কবি ও কবিতা: বিমূর্ত চরণে রাখি কালের ক্ষমা’ এর সফল মঞ্চায়নে তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না। পূর্ব লণ্ডনের সংস্কৃতিচর্চার প্রাণকেন্দ্র ব্রাডি আর্টস সেন্টারের নির্ধারিত সিটগুলোতে স্থান সংকুলানে ব্যর্থ হলে দর্শকরা মাটিতে বসে পড়েন।
বসার স্থান না পেয়ে অনেককে পাশের রুম ও করিডোরে দাঁড়িয়ে থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে হয়। বিপুলভাবে দর্শক নন্দিত এই কাব্যসন্ধ্যার সামগ্রিক পরিবেশনার নিঃসঙ্কুচ প্রশংসা করেন উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানটি কবি ও কবিতা কেন্দ্রীক হলেও এতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
গত ৩ ডিসেম্বর, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বৃত্ত-আবৃত্তি, গান এবং দর্শক প্রতিক্রিয়া ও প্রশ্নোত্তর পর্বের নান্দনিক উপস্থাপনায় মঞ্চায়ন হয় এই কাব্যসন্ধার। বোদ্ধা কবি ও সাহিত্যিক মহলে ইতোমধ্যে শুদ্ধতা ও শুভ্রতার কবি হিসেবে খ্যাত সাপ্তাহিক সুরমার সম্পাদক, কবি আহমদ ময়েজের কিছু নির্বাচিত কবিতা নিয়ে লণ্ডনের কবি-সাহিত্যিকদের নতুন প্লাটফরম অধ্যায় প্রথমবারের মতো এই আনুষ্ঠানিক কাব্যসন্ধ্যার আয়োজন করে। নির্দিষ্ট কোনো উপস্থাপক ছাড়াই একে একে মঞ্চস্থ হতে থাকে অনুষ্ঠানের নানা পর্ব। সব মিলিয়ে তৃতীয়বাংলা বলে খ্যাত বিলেতে সত্যিকার অর্থে একটি ব্যতিক্রমী কাব্যসন্ধ্যার উপহার দেয় অধ্যায়। হল কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময় সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গড়ায় রাত সাড়ে দশটায়। 

 

গণসঙ্গীতশিল্পী হিরা কাঞ্চন হিরকের কণ্ঠে কবি আহমদ ময়েজের ছড়াগান ‘দিন বদলের পালা, এখন দিন বদলের পালা’ পরিবেশনের মাধ্যমে সূচনা হয় মূল পর্বের। এর পর পিনপতন নিরবতায় বিলেতের সুপরিচিত বাচকশিল্পীবৃন্দের কণ্ঠে একে একে কোরাস ও এককভাবে আবৃত্ত হয় ‘কবির কোনো ঈশ্বর নেই …’, ‘ভাব ও বাজুবন্দনারী’ ‘পথের অসুখ …’ ‘রোদেলার উপাখ্যান’ এবং কথার কসরৎ’ শিরোনামের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নির্বাচিত কবিতা। ‘আগুনে পুড়িয়ে বাঁশি এতো সুর বাজে/ মাটির পরাণ পোড়ে/ যৈবতী কাঁদিয়া কয়, তার নামে আরো কিছু প্রতœগীত বাঁধো/ … শোন প্রজনন প্রথিত হয়নি আজো এই কাল আলোর প্রমা/ গুরুভেদ ভাঙিয়া গেলে/ বিমূর্ত চরণে রাখি কালে ক্ষমা।’ ‘এতো ব্যথা রাখিব কোথায়/ বিষ নামাইয়া দেও।’ ‘উজাড় করিয়া নামো বাজুবন্দ নারী/ তোমার আঙ্গিনা হোক ভাবের মোরতি।’ ‘আমিতো আজন্মসই পথে পথে ঘুরি। বাঁধি গান/ স্নাত হই। ফেরার আশায় দেহজ নৌকা বানাই’ ‘কবির কোনো পোষাকী ঈশ্বর থাকতে নেই’ এধরণের অসংখ্য হৃদয়গ্রাহী কাব্যপংক্তিমালা ও ছড়াগানের ছন্দে এক অনন্য ভাবের সায়রে ভাসে হল উপচেপড়া দর্শক-শ্রোতাদের বিশাল সমাবেশ।
প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা বলেন, কবি আহমদ ময়েজ একজন শুদ্ধচারী মরমি কবি। কবিকে নিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি নান্দনিক ও ব্যতিক্রমী কাব্যসন্ধ্যা উপহার দেওয়ায় আয়োজক সংস্থা অধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানান তারা। অধ্যায় আসলেই একজন উপযুক্ত মানুষকে সম্মান জানিয়ে তাদের প্রকাশ ঘটানো তিনি তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
কবি আহমদ ময়েজ তাঁর কাব্যচর্চা ও লেখালেখি বিষয়ে তাৎপর্যবহ বক্তব্যে বলেন, কবি যেখানে দাঁড়াবেন সেখান থেকে পথ নির্ণয় হবে। কবি যদি রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে দাঁড়ান তাহলে তিনি কবি নন, দলকর্মী। শেষ পর্যায়ে কবিকে তাঁর একটি কবিতা পড়ে শোনাতে অনুরোধ জানালে তিনি সুন্দর আয়োজনে মুগ্ধ হয়ে ‘তোমাদের এই মুগ্ধ সভায়’ শিরোনামের স্বরচিত কবিতাটি পাঠ করে শোনান এবং সব শেষেও কবির কণ্ঠে গান শুনতে শুনতে বাড়ি ফিরেন সবাই।
কবির নির্বাচিত কবিতা থেকে আবৃত্তিতে অংশ নেন বিলেতের সক্রিয় ও সুপরিচিত আবৃত্তিকারদের অন্যতম তৌহিদ শাকীল, স্মৃতি আজাদ, মোস্তাফা জামান নিপুন, সোমা দাস, বর্ণালী চক্রবর্তী, সৈয়দ রুম্মান, সাগর রহমান ও উর্মিলা আফরোজ। প্রতিক্রিয়া পর্বে আবৃত্তিকার ও সংবাদ পাঠক মুনিরা পারভিন স্মৃতিচারণ করেন কৈশোরে তাকে লিখা কবির একটি ছড়া আবৃত্তি করে শোনান। প্রতিক্রিয়াপর্বে অংশ নিয়ে আবৃত্তিকার ও সংবাদ পাঠক মুনিরা পারভিন কবির সাথে তাঁর কৈশোরিক স্মৃতিচারণ করেন এবং কৈশোরে তাকে নিয়ে একটি ছড়া, যেটি তখনকার নিউজপ্রিণ্ট পেপারে লেখা এবং এতোদিন তাঁর গচ্ছিত ছিলো তা আবৃত্তি করে শোনান। 
এক পর্যায়ে কবিকে মঞ্চে ডাকা হলে মুহুর্মুহু করতালিতে আবৃত্তিকারদের সারিতে আসন গ্রহণ করেন কবি আহমদ ময়েজ। এসময় কবিকে ফুল, অধ্যায় সম্মাননা ক্রেস্ট, মনোগ্রাম সম্বলিত মগ এবং উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করেন অধ্যায়ের সদস্যরা। কবিকে আনুষ্ঠানিক বরণের পর কবির সাথে কথোপকথনে জড়ান আবৃত্তিকার, কবি সৈয়দ রুম্মান। 

কবি আহমদ ময়েজ ও তাঁর কবিতা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যায়ের সভ্য, কবি সাইম খন্দকার। তিনি তাঁর প্রবন্ধে বলেন, কবির সমাজভাবনা শ্লোগান-সর্বস্ব নয়। কারণ, জীবন-ঘাটে নাইতে গিয়ে হরহামেশাই তিনি দেখেছেন কীভাবে শ্লোগান-সর্বস্বরা কবিতাকে বিকিয়েছে চালাকির হাঁটে – নষ্ট হয়ে যাওয়া রাজনীতির দামে। তিনি আরো তুলে ধরেন, আহমদ ময়েজ বিশ্বাস করতে চান কবিতা নির্মাণের প্রধানতম উপকরণ হল: ছন্দ এবং ভাষা। তাই ছান্দিক সৌকর্যই হয়ে উঠেছে তাঁর কাব্যধারার উপভোগ্য আকর। সাইম খন্দকার কবির গদ্য সম্পর্বে আলোকপাত করে বলেন, কবিতার মতোই গদ্য কিংবা ছোট গল্পেও সমান পারদর্শী তিনি।
 অনুষ্ঠানে শেষ পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়াপর্বে উপস্থিত দর্শকশ্রোতাদের অনেকে। সার্বিক বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কবি ও কলামিস্ট ফরীদ আহমদ রেজা বলেন, আমি আশা করি, আহমদ ময়েজ নাম অর্জনের কবিতা লেখেন না এবং কবিতার তিনি সাধনা করেন। আর তাঁর সমসাময়িক মরমী ধারার সাথে সংমিশ্রণ। কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুজিবুল হক মনি বলেন, কবি আহমদ ময়েজের ভেতরে বাউল ভাবধারা সবসময় কাজ করে। তিনি কবিতার প্রতি খুবই যত্নশীল তাই আমাদেরকে বাবার বার যত্নশীল হওয়ার তাগিদ দেন।সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমদ বর্তমান ফনোমাণ্টিক যুগে এধরণের আয়োজনকে খুব চমৎকার উদ্যোগ আখ্যায়িত করে বলেন, দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করার সুবাদে কবি আহমদ ময়েজকে অসম্ভব একজন গুণি মানুষ হিসেবেই দেখেছি। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আজমল মাসরুর আয়োজনকে চমৎকার মন্তব্য?করে বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আসায় চমৎকার একটি অনুভূতি নিয়ে যেতে পারছি।
সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আহমদ ময়েজ কবিতা এবং সাহিতত্যের ক্ষেত্রে একজন খুবই কমিটেড মানুষ। অধ্যায় আসলেই একজন উপযুক্ত মানুষকে সম্মান জানিয়ে তাদের প্রকাশ ঘটানো তিনি তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, একজন কবিকে নিয়ে এমন আয়োজনে আমি অভিভূত।

 

লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মাহবুব রহমান বলেন, কবিকে জানতামন তিনি মরমি ধারায় আপ্লুত হন। তিনি কবি না হলে সম্ভবত বাউল হতেন। আমরা হয়তো একজন কবি ময়েজের মাঝে বাউল ময়েজকে হারালাম। একজন কবিকে নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন এবং উপচেপড়া ভিড় দেখে তিনি বলেন, অধ্যায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পেরেছে। ব্রিটিশ মূলধারার লেখক, কাউন্সিলার রাবিনা খান বলেন, তিনি তাঁর মা-বাবার কাছ থেকে বাংলা ভাষা শেখার জন্যে উৎসাহিত হয়েছেন এবং কৈশোরে তাদের মুখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামের নাম শুনেছেন। তিনি কবির প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, কবিতার সৌন্দর্য চিরকাল বেঁচে থাকে। কবি সৈয়দ ইকবাল বলেন, এই বিলেতেও অনেক কবিতাপ্রেমিক আছেন আজকের অনুষ্ঠান তার প্রমাণ। কবি শাহ শামীম আহমদ বলেন, বিলেতে আসার পর আমি কবিতা লেখা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। কবি আহমদ ময়েজের অনুপ্রেরণায় আবার তা শুরু করি। এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে, সাহিত্য-সংস্কৃতির অনেকের ক্ষেত্রে তিনি উৎসাহদাতা হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন এবং রেখে যাচ্ছেন। কাউন্সিলার আয়শা চৌধুরী বলেন, ময়েজ ভাইর কবিতা ও ছড়া লেখার চমৎকার একটি প্রতিভা রয়েছে। নিজে লেখালেখির পাশাপাশি অন্যদেরকেও উৎসাহিত করে যাওয়ায় তিনি তাকে ধন্যবাদ জানান। সংস্কৃতিকর্মী নুরুর চৌধুরী বলেন, আমাদের বাচ্চাদের বাংলা শেখানো কিংবা বাংলাভাষা এখানে ঠিকবে কিনা সে ব্যাপারে শঙ্কিত ছিলাম। আজ কবি ও কবিতা তথা বাংলাভাষা বিষয়ক এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আমাকে আশাবাদী করছে। কবি ও ছড়াকার রেজুয়ান মারুফ বলেন, আহমদ ময়েজ কবিদের এক নেপথ্য কারিগর। কবি আব্দুল মুকিত অপি সুন্দর আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, সকাল দেখে বোঝা যায় দিনটি কেমন হবে। অধ্যায়ের প্রথম প্রোগ্রাম সেটিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আবৃত্তিকার আবু সাঈদ আনসারী বলেন, আহমদ ময়েজ ছড়া কিংবা কবিতা যেটাতেই হাত দেন তাতেই তিনি সার্থকতা লাভ করেন।

এছাড়াও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন- লেখক এনায়েত সারওয়ার, কবি আবু মকসুদ, সংস্কৃতিকর্মী নোমান আহমদ, কবি আনোয়ারুল ইসলাম অভি, ছাড়াকার হিলাল সাইফ এবং কবি মোশাহিদ খান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছোট্ট শিশু, কবিপুত্র ওয়াফি জানতে চায় কবিতা লিখতে কে তাকে উৎসাহিত করে।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যায়ের সভ্য, কবি কামরুল বসির এবং কবির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন নারী এশিয়ান ম্যাগাজিন সম্পাদক, কবি শাহনাজ সুলতানা। কাব্যসন্ধ্যাটির নান্দনিক পরিস্ফুটনে আলোকসজ্জায় মিঠু আজাদ, মিউজিকে তন্ময় এবং সাউণ্ড সিস্টেমে ফয়সল দায়িত্বপালন করন। হালকা নৈশভোজের মাধ্যমে কাব্যসন্ধ্যারটির সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কবি মুহাম্মদ শরীফুজ্জামান ও কবি রব দেওয়ান সৈয়দ। অনুষ্ঠানে সহযোগিতাকারী এবং স্পন্সরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান কবি ও গীতিকার শাহ সোহেল আমিন। উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিক্রিয়াপর্ব পরিচালনা করেন কবি কাইয়ূম আবদুল্লাহ।

অনুষ্ঠানটি অধ্যায়ের ব্যানারে হলেও তা সফলে বিলেতের সর্বস্তরের কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকবৃন্দ সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। কবিদের অন্যতম সক্রিয় প্লাটফরম ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ কবিতাস্বজন এর সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন, কবির রেজুয়ান মারুফ, কবি সুমন রহমান, লণ্ডন চার্চিহিল কলেজের মিজানুর রহমান, নারী এশিয়ান ম্যাগাজিনের সাবু নেওয়াজ, হোটেল পলাশের শেখ ফারুক আহমদ, প্রবাসী পল্লীর এমদাদ আহমদ, কিংডম সলিসিটরের পক্ষে সাপ্তাহিক বাংলাপোস্টের সম্পাদক ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী, সামি এণ্ড কো. সলিসিটর্সের ডাইরেক্টর সলিসিটর হাসান খান, সাপ্তাহিক পত্রিকার স্পেশাল কণ্ট্রিবিউটর সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী, সাংবাদিক আকবর হোসেন, বাংলা ভয়েসের সম্পাদক মুহাম্মদ মারুফ, প্রাবন্ধিক আবদুল আউয়াল হেলাল, লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল এস-এর চীফ রিপোর্টার মুহাম্মদ জুবায়ের, জ্যাবিত্রি রেস্টুরেণ্টের ডাইরেক্টর কবি মুহাম্মদ শরীফুজ্জামান, ইস্ট এণ্ড লজিষ্টিকের ডাইরেক্টর কবি রব দেওয়ান সৈয়দ, ম্যানর গ্লেইজিং এর ডাইরেক্টর ইসহাক আলী, কবি ফয়জুর রহমান ফয়েজ, কবি সারওয়ার আলম, প্রিণ্ট আর্ট ফর ইউ এর ডাইরেক্টর নিকিল রহমান, প্রকাশনা সংস্থা হরপ্পার ডাইরেক্টর নাফে আনাম, গ্রাফিক্স ডিজাইনার রেজাউল আলম নাণ্টু এবং নবাব ইম্পেরিয়েলের ডাইরেক্টর আশরাফুল আলম দুলাল।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটিকে কেন্দ্র করে একটি স্মারকও প্রকাশিত হবে। এতে ওইদিন আবৃত্তির জন্যে কবি আহমদ ময়েজের বাছাইকৃত কবিতার সাথে তাকে নিয়ে বিলেতের সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের লেখা অন্তুর্ভূক্ত থাকবে। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকেই এই কবিকে নিয়ে সবিস্তারিত ও সুদীর্ঘ লেখা পাঠিয়েছেন এবং আরো অনেকে লেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু স্মারকটির আকার ছোট রাখার স্বার্থে অনুষ্ঠানে আবৃত্তির বাছাইকৃত কবিতার সাথে ইতোমধ্যে যাদের লেখা পাওয়া গেছে তাদের লেখার অংশ বিশেষ উক্ত স্মারকে অন্তর্ভূক্ত হবে এবং পরবর্তীতে সব লেখাকে নিয়ে শীঘ্রই একটি সম্পূর্ণ গ্রন্থ প্রকাশিত হবে।